বনসাই গাছের যত্ন এবং সংরক্ষণ (১ম পর্ব )

বনসাই গাছের যত্ন এবং সংরক্ষণ (১ম পর্ব )

বনসাই এর যত্ন সাধারনত যতটা কঠিন ধারনা করা হয় আসলে ততোটা কঠিন নয়। তবে, যেহেতু বনসাইকে একটা ছোট পাত্রের মাঝে বেড়ে উঠতে দেয়া হয় তাই এর যত্ন সম্পর্কে কিছু সাধারন নিয়মাবলী রয়েছে যেমন, পানি দেয়া, সার প্রয়োগ, এক টব থেকে অন্য টবে স্থানান্তরিত করা ইত্যাদি।

যেহেতু, বনসাই গাছ গুলো অন্যান্য গাছ সমূহ থেকে কিছুটা নমনীয় তাই এদের যত্ন এবং রক্ষণাবেক্ষণ এ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। নিম্নে বনসাই গাছ এর সঠিক পরিচর্যা সম্পর্কে আলোচনা করা হল।

পানি দেয়াঃ

গাছের যত্নের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল এতে পানি দেয়া। একটি বনসাই গাছে কি পরিমানে এবং কিভাবে পানি দিতে হবে তা অনেক গুলো বিষয়ের উপর নির্ভর করে, যেমন গাছের প্রজাতি, আকার এবং আবহাওয়া এর উপর নির্ভর করে বনসাই গাছে পানি দিতে হয়। গাছে প্রতিদিনই পানি দেয়ার প্রয়োজন হয় না তবে  খেয়াল রাখতে হবে যেন মাটি শুষ্ক না হয়,  মাটি সামান্য শুষ্ক হয়ে গেলেই এতে পানি দেয়ার প্রয়োজন হয়ে পরে, তাই মাটিকে কোন ভাবেই সম্পূর্ণ রূপে শুষ্ক হতে দেয়া যাবে না।

নিম্নের সাধারন নিয়মাবলী অনুসরণ করে খুব সহজেই একটি বনসাই গাছে সঠিক পরিমানে পানি দেয়া যায়ঃ

মাটি যখন কিঞ্চিত শুষ্ক হয়ে যাবে তখনই পানি দিতে হবে

এর মানে বনসাই গাছের মাটি কিছুটা ভেজা থাকলেও এতে পানি প্রদান করা যাবে না বরং তা যখন কিঞ্চিত শুকিয়ে আসবে তখন এতে পানি দেয়া যাবে। আঙুল দিয়ে মাটির এক সেন্টিমিটার (০.৪”) গভীর পর্যন্ত ভিতরের শুষ্কতা পরীক্ষা করা যায়

সকল বনসাই এ নির্দিষ্ট সময়ে পানি প্রদান করা যাবে না

সকল গাছের প্রতি আলাদা নজর রাখতে হবে, প্রতিটি গাছে আলাদা আলাদা সময়ে পানি দিতে হবে, যখন যে গাছের প্রয়োজন তখন সে গাছে পানি দিতে হবে।

মাটির সঠিক মিশ্রণ

মাটির মিশ্রণের উপর বনসাই গাছের পানি প্রয়োগ অনেকাংশে নির্ভর করে। অধিকাংশ বনসাই গাছের জন্য কাদামাটি, মিহি নুড়ি পাথর এবং জৈব সারের মিশ্রণটি ০.৫:০.২৫:০.২৫ অনুপাতে থাকলে ভালো হয়।

গাছে পানি দেয়ার সময়টা খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়, যখনই মনে হবে মাটি আংশিক শুকিয়ে আসছে তখনি গাছে পানি দিতে হবে। তবে  পরামর্শ হল, বিকেল বেলায় অতিরিক্ত ঠাণ্ডা পানি না দেয়া, যখন মাটি সূর্যের তাপে গরম হয়ে উঠবে তখনি গাছে ঠাণ্ডা পানি দেয়া যেতে পারে।

বনসাই গাছে যখনই পানি দেয়া হয় তখন এমন ভাবে দেয়া উচিত যেন গাছের মূল খুব সহজেই পানি শুষে নিতে পারে। তাই ততক্ষণ পর্যন্ত পানি দিতে হবে যতক্ষণ পর্যন্ত না পানি পাত্রের  নিষ্কাশন ছিদ্র দিয়ে  বের হয়ে আসছে, এই পদ্ধতিতে কিছুক্ষণ পর পর পানি দিতে হবে। একটি গাছের উপর থেকে খুবই মসৃণ ছিদ্র যুক্ত পানি দেয়ার পাত্র দিয়ে পানি দিতে হবে, এর ফলে মাটির কোন ক্ষতি হবে না। ধরে রাখা বৃষ্টির পানি গাছের জন্য অনেক ভালো, যদি না এতে কোন প্রকার রাসায়নিক পদার্থ যুক্ত করা হয়।

সার প্রয়োগ

যেহেতু বনসাই গাছ কে একটি স্থান থেকে সংগ্রহ করে অন্য পাত্রে স্তাপন করা হয় তাই এর প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান সমুহ পুনরায় ফিরে পাওয়ার জন্য এতে সঠিক ভাবে এবং সঠিক সময়ে সার প্রদান করতে হয়। “বনসাই সার” ব্যাবহার করাই শ্রেয় তবে যেকোনো ভালো সার ব্যাবহার করা যায়, তবে খেয়াল রাখতে হবে তা যেন পরিমানে খুব বেশি না হয়।

আর ও বিস্তারিত জানতে আসুন ২য় পর্বে …

 

..

 

Sell Your Product With Us

5 Responses

  1. খুব ভাল লাগে আমার এই ম্যাগাজিনটি,অনেক দিন ধরেই এমন কিছু খুঁজছিলাম,শেষ পর্যন্ত এটি পেলাম,এগিয়ে যান

  2. কৃষি নিয়ে এমন একটি উদ্যোগ খুবই দরকার ছিল,শুভ কামনা এর সাথে সম্পিক্ত সবাইকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Want to write on Methopoth? Submit your article here ...