পোল্ট্রি খামার পরিকল্পনা
পোল্ট্রি খামার পরিকল্পনা করে বেকার আকমল এখন স্বাবলম্বী। ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের আকমল হোসেন বেকারত্বের সাথে লড়াই-সংগ্রাম করে আজ সাবলম্বী। পোল্ট্রির খামার করে আকমল আজ সফল পোল্ট্রি খামারী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। বাবা মারা যাওয়ার পর দুই ভাই এক বোনের সংসারের দায়িত্ব বর্তায় আকমলের উপর। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পর কোন উপায়ান্তর না পেয়ে চোখে তিনি সরষে ফুল দেখতে পান। এসময় নিজ বসতবাড়ির পাশেই পোল্ট্রি খামার করার সিদ্ধান্ত নিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করে প্রতিষ্ঠা করেন পোল্ট্রি খামার।
আকমল জানান, বাবা ছিলেন ব্যবসায়ী। তিনি মারা যাওয়াতে এলাকার এক বড় ভাইয়ের পরামর্শে যুব উন্নয়ন থেকে পোল্ট্রি, গবাদিপশু ও মাছের উপর ৩ মাসের প্রশিক্ষণ নেন। প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজ বাড়িতেই সোনালী জাতের ৫০টি মুরগি পালন শুরু করেন। সেই থেকে আর পিছন ফিরে তাকিয়ে থাকতে হয়নি আকমলকে। মুরগি পালন করে ডিম ও মুরগি বিক্রি করে বাড়তি আয় করতে থাকেন। পরিবারের চাহিদাও মিটানো হয়। ক্রমশ তার খামার প্রসারিত হতে থাকে। বর্তমানে তার খামারে ৩ হাজার ২শ মুরগি রয়েছে। প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ হাজার টাকার ডিম বিক্রি হচ্ছে।
ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মহির উদ্দিন বলেন, আকমল হোসেন পোল্ট্রি খামার করে ঈশ্বরদীর একজন মডেল খামারি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। দাশুড়িয়া ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের মৃত আনার আলী প্রামানিকের প্রথম পুত্র মো. আকমল হোসেন বেকারত্বের সাথে লড়াই-সংগ্রামের মাধ্যমে পোল্ট্রি খামার করে আজ একজন সফল পোল্ট্রি খামারি।
তথ্য ও সূত্র :- অনলাইন